এই যে দেশের এমন অবস্থা!
সবকিছু কেমন জানি গোলমেলে। বন্যায় পরিস্থিতি খারাপ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি, অর্থনীতি নড়বড়ে তারপর যার যখন ইচ্ছে হচ্ছে তখন গিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করছে কিংবা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিচ্ছে!
আন্দোলন বিষয়টা এখন অনেকটা অর্গাজমের মতো হয়ে গেছে। এমনকি এমন কিছু দাবি দাওয়া উপস্থাপন করা হচ্ছে আন্দোলনে যেগুলো মেনে নেওয়া অনেকটাই ইম্পসিবল। বিক্ষোভকারীদের দাবীদাওয়া শুনলে মনে হচ্ছে যেন তারা অনেকটা গায়ের জোরে সবকিছু করতে চাচ্ছে। হঠাৎ ইচ্ছে হচ্ছে আর আন্দোলন শুরু করে দিচ্ছে!
কোনো পূর্ব নোটিশ নেই, উর্ধতন কারো সাথে বসার জন্য কোনো আবেদন নেই। ইচ্ছে হলো আর আন্দোলন শুরু!
এইটা বুঝায় যাচ্ছে যে এসবের পেছনে তৃতীয় শক্তির হাত রয়েছে। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে এবং বর্তমান সরকারকে চাপের মধ্যে রাখতে চাইছে।
আমাদের দেশে সবসময় তৃতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে চাপের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করে। অনেক সময় সফল হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে সফল হয় না। তবে এখনকার যে তৃতীয় পক্ষ তাদের কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া যাবে না। তারা সফল হলে আবার ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যাবে আমাদের এই দেশ। তাই কোনো মতেই রাষ্ট্র পুরোপুরি সংস্কারের আগে কোনো অশুভ শক্তির হাতে দেশকে তুলে দেওয়া যাবে না। আগে সংস্কার, তারপর নাহয় ভোটের রাজনীতি আবার শুরু হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরোপুরি সংস্কার এবং একটা জবাবদিহি মূলক ব্যবস্থা না তৈরি করে দিয়ে গেলে নতুন যারা ক্ষমতায় আসবে তারা আবারও পুরাতন টেকনিক ব্যবহার করতে চাইবে যেমনটা শেখ হাসিনা করেছিলো। তাই অবশ্যই একটা জবাবদিহিমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা তৈরি করেই নির্বাচন দিতে হবে। যেখানে ছোট, মাঝারি থেকে বড় দল ; সবাই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবে।
এখন নাগরিক হিসেবে আমাদের গুরুত্ব অনেক, দেশের এই নড়বড়ে অবস্থায় সুনাগরিক হিসেবে আমাদের সক্রিয় থাকাটা খুবই দরকার। বর্তমান সরকারকে তাদের কাজে সহযোগীতা এবং তৃতীয় পক্ষকে সনাক্ত করে সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে আমাদের অবদান রাখতে হবে। চোর-বাটপাররা যাতে আর মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে সেজন্য আমাদের সাহসী উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের আত্মীয়-স্বজন যারা বাহিরে বসবাস করে তাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে লিগ্যালভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে। তারা যেন সহজে টাকা পাঠাতে হুন্ডি ব্যবহার না করে তাতে সতর্ক করতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে, তাদের আয় করা এই অর্থ রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং আমাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা সবাই দেশটাকে নতুনভাবে গড়তে কাজ করে যাই। এই দেশে যাতে আর কোনো স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদী শক্তি আঘাত হানতে না পারে। আমাদের সবাইকে এখন সরকারের ভূমিকা পালন করতে হবে। নাহলে দেশের এই কঠিন সময়টা আরও বেশী কঠিন হয়ে যাবে রাষ্ট্রের জন্য।