ধরে নিলাম গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সাবেক একজন মন্ত্রী এবং এমপি ছিলেন। তিনি দলীয় শক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক কুকর্ম এবং দুর্নীতি করেছেন। কিন্তু তাই বলে উনার প্রতিষ্ঠান লুট করবেন এবং পুড়িয়ে মানুষের জান নিয়ে নিবেন?
এই গাজী টায়ার কোম্পানিতে লুটের সময় আসা ১৭৩ জন মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হইতো তারা কোম্পানির ভিতরে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে!
কত গরীব, অসহায় মানুষের সংসার চলতো এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। কত বাবা এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ জোগাতো, দুমুঠো ভাত তুলে দিতো। কত গৃহহীন-স্বামীহারা নারী এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বেঁচে থাকার আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলো। ভেবেছেন একবার?
প্রতিষ্ঠান লুট করেছেন, ওকে!
তাই বলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়েও দিতে হবে?
যারা আগুনে পুড়েছে, তারা যদিও প্রতিষ্ঠানে কাজ করে না। ধারণা করা হচ্ছে লুট করতে এসে তারা ভিতরে অবস্থান করার সময় বাহির থেকে উৎসুক কিছু মানুষ আগুন লাগিয়ে দেয়। যে মানুষই হোক! জান তো গিয়েছে?
কতগুলো মানুষ বেকার হয়েছে। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস আজ জ্বলেপুড়ে ছারখার। তাদের সন্তান-পরিবারের জন্য সামনে হইতো খুব কঠিন সময় অপেক্ষা করছে!
যে পরিবারে আয়ের উৎস চলে যায়, সে পরিবার জানে কতটা কষ্ট আঁকড়ে ধরে তাদের।
আমাদের বুঝেশুনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এমন কোনো কাজ করা ঠিক না যে কাজটা সাধারণ মানুষদের এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে। আগুন সন্ত্রাসের এই রাজনীতি আমাদের প্রতিহত করতে হবে। এই দেশের আর ক্ষতি না করি আমরা। দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকার আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।