Official poster |
ছোটদের সিনেমা তৈরি করা সহজ কাজ নয়। বর্তমানে ছোটদের নিয়ে তেমন ছবিও তৈরি করা হয় না। পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল এই ছবির নির্মাতা। 'লোডশেডিং' এবং ‘রেনবো জেলি’র পর ‘ভূতপরী’, আরও একবার কল্পনা-বাস্তবের লুকোচুরি খেলা। বর্তমান সময়ের লার্জার দ্যান লাইফ হিরো আর ডার্ক থ্রিলারের বাজারে বনলতা, মাখন চোর, কালো ঠাকুর, সূর্যরা বেশ সতেজ একটা অনুভূতি দিবে।
গল্প মূলত সূর্যকে নামের একটি ছেলেকে কেন্দ্র করে। স্লিপ ওয়াক অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে হাঁটার অভ্যাস ছোট্ট সূর্যর। এতে তার মা শিলালিপি ও বাবা পলাশ বেশ চিন্তিত। ডাক্তারের পরামর্শে সূর্যকে তারা নিয়ে আসে গ্রামের বাড়িতে। সূর্য আবার খুব দুষ্ট; সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়ে অজানার সন্ধানে। হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গলের ভিতরে চলে গেল সূর্য! সেখানে রয়েছে বনলতার নামের এক মেয়ের অতৃপ্ত আত্মা! আর? আর এক চোর, যার নাম মাখন। তার পর কি হয়?বাকিটুকু জানতে 'ভূতপরী' দেখতে হবে।
বনলতার চরিত্রে জয়া আহসান গ্রামবাংলার অভাগী মেয়েদের কথা মনে করিয়ে দেন। খুবই সুন্দর অভিনয় করেছে জয়া। ঋত্বিক চক্রবর্তী এই ছবির অক্সিজেন। মাখন চোরের চরিত্রে তাঁর সাবলীল অভিনয়, সংলাপের চাটুকারিতা মুগ্ধ করে। কালো ঠাকুরের চরিত্রে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় বলিষ্ঠ। শিলালিপির চরিত্রে সুদীপ্তা চক্রবর্তী ও মাস্টারের চরিত্রে অভিজিৎ গুহ নিজেদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করেছেন। নিজের সিনেমায় টুকরো টুকরো মুহূর্ত তৈরি করেছেন সৌকর্য। ভয়, কৌতুক, বন্ধুত্ব মিলিয়ে মিশিয়ে দিয়েছে।
তবে কয়েকটি জায়গায় একটু ধীর গতির মনে হয়েছে, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। আর কালো ঠাকুরের ঘর যখন সূর্য ও মাখন মিলিয়ে খুলল, সে জায়গা যে বহুদিন ধরে বন্ধ ছিল তা অনুভব করা গেল না। সাধারণত বহু বছর পর কোনও ঘর খোলা হলে, ধুলো-ময়লা একটু বেশি থাকে। চিত্রনাট্যে ছোটখাটো কিছু দূর্বলতা রয়েছে। তবে একবার দেখার মতো ফিলগুড সিনেমা 'ভূতপরী'। চাইলে দেখে নিতে পারেন।
তবে ভূতপরী কোনোভাবেই 'রেনবো জেলি' এবং 'লোডশেডিং' এর লেভেলে যেতে পারে নি।
IMDb : 5.6/10
My Rating : 6/10