অনুমোদনহীন ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস এবং বেচারা সাধারণ ক্রেতা!


বাজারে বিক্রি হওয়া ৫টি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির কোনো অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছেন আদালত। এই ৫ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই ড্রিংকসগুলো হলো এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকিজের রিচার্জ ও টারবো।

যেহেতু ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস মূলত ঔষুধ জাতীয় ক্যাটাগরির আন্ডারে পরে তাই এইরকম ড্রিংকস বাজারজাত করতে গেলে অবশ্যই ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন আবশ্যক কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বানাচ্ছে তারা ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন না নিয়েই বাজারজাত করা শুরু করেছে। 

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি এবং ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে ইন্সট্যান্ট এনার্জির জন্য স্যালাইন, গ্লুকোজ এবং অতিরিক্ত চিনি থাকে যেটা এইসকল রোগীদের শরীরে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা এইগুলো খেলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাবে, অতিরিক্ত চিনি থাকার ফলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাবে পাশাপাশি যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রবেশ করলে কিডনি সেটা ব্যালেন্স করতে পারবে না যেকারণে কিডনির সমস্যা উল্টো বেড়ে যাবে।

এইসব কারণে এই ড্রিংকসগুলো অবশ্যই ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর পরিক্ষা নিরীক্ষা করার পর অনুমোদন দিলে বাজারজাত করা উচিৎ। তবে এসএমসি'র মতো নামীদামী প্রতিষ্ঠানও যারা অলরেডি ফার্মেসী ব্যবসায় জড়িত তারা কিভাবে অনুমোদন না নিয়েই বাজারজাত করা শুরু করেছে সেটা বুঝে আসলো না!

বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস অনুমোদন না নিয়ে বাজারজাত করা মারাত্মক অপরাধ। উন্নত দেশে এমন হলে অলরেডি জেল-জরিমানা হয়ে যেতো প্রতিষ্ঠানের। 

আমরা কি খাচ্ছি ভাবতে পারছেন? 

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া একটা ইলেক্ট্রোলাইট এনার্জি ড্রিংক খাচ্ছি যা আমাদের হইতো একটা সাময়িক এনার্জি দিচ্ছে কিন্তু সেটা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কিনা তা আমরা জানি না কারণ জিনিসটার অনুমোদনই নাই। 

তবে দেরী করে হলেও আদালত একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার কৈফিয়ত দিতে হবে পাশাপাশি অনুমোদন নিয়ে বাজারজাত করতে হবে। অনুমোদন না নেওয়া পর্যন্ত এইসব ড্রিংকস না খাওয়াটায় শ্রেয় হবে আমাদের জন্য।

Post a Comment

Previous Post Next Post